অহংকারের অনেক রূপ আছে, মানব আচরণে বর্ণীল রূপে প্রকাশিত হয়! আর সবচাইতে ভয়ংকর ও সূক্ষ যে রূপ, তা হল- নিজের দোষ স্বীকার না করা। অহংকার ছোট বা বড় যাই হোক তা বিপর্যয়ের কারণ। অহংকার যেহেতু বাহ্যিক বা দৃশ্যমান বিপর্যয়, তাই খুব সচেতন ভাবে জ্ঞানীব্যাক্তি ভুল বা দোষ স্বীকার করে নেয়। যা তার ব্যাক্তিদর্শন উন্নয়নে আরো বেশি সহায়ক। প্রতিটি ভুল বুঝতে পারা তাদের জন্য এক একটি মাইলফলক। তাই “ভুল স্বীকার জ্ঞানীদের জন্য উপহার স্বরূপ ও গৌরবের”।
ভুল স্বীকার আত্মসম্মান বা লজ্জার প্রশ্ন, তাই প্রচলিত অর্থে ইহা স্বাভাবিক? না, অবশ্যই ইহা অস্বাভাবিক ও নিন্দনীয়। বরং ভুল স্বীকার করে নেওয়া সম্মানের, লজ্জার নয়। অবশ্য সমালোচনা এড়াতে চায় অনেকে কিন্তু তা আত্মঘাতী!
ভুলে যাওয়া বা ভুল করা স্বাভাবিক, যা মানবজীবনের সহজাত প্রবণতা। কৃতকর্ম বা ভুলের জন্য অনুতপ্ত না হওয়া, দোষ স্বীকারে গড়িমশি ব্যাক্তির জীবনে বয়ে আনে ব্যার্থতা ও সর্বনাশ। অহংকারের পরিনাম বা ফল খুব ধীরে, অল্প-অল্প করে, ও অনেকটা সময় যাবৎ প্রকাশিত হয় তাই আমাদের বুঝতে দেরি হলেও, জ্ঞানীরা ঠিকই উপলব্ধি করতে পারে সঠিক সময়ে।
আমি মনে করি- ভুল স্বীকার যে শুধু মহত্বের গুণ তাই নয়, অন্তত আমাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে হলেও দোষ স্বীকার করার মানুষিকতা অর্জন জরুরী। যদিও কিছুটা কঠিন, তবে সততা ও চিন্তার মধ্যদিয়ে আমরা চাইলেই অর্জন করতে পারি জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সুন্দর এই গুণটি।
সম্মানিত পাঠক উপরের আলোচনা নিছক আমার কল্পনা প্রসূত চিন্তা, যা সত্য নাও হতে পারে। আপনার চিন্তাগুলো হয়তো আরো সাবলীল ও যুক্তি সঙ্গত তাই ধারাবাহিক ও যৌথ ভাবে আমাদের চিন্তা গুলোকে এগিয়ে নিতে আপনার মূল্যবান মতামত এই লেখাকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।